হুগো গ্রোশিয়াস

রোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে ৪২৬ খ্রিষ্টাব্দে। তারপর মধ্যযুগে ইউরোপের শাসনকার্য পরিচালিত হত ভ্যাটিকান থেকে। প্রাকৃতিক আইনকে মধ্যযুগে ধর্ম দিয়ে চাপা দেওয়া হয়। বলা হয় যা কিছু ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত তাই আইন। একইভাবে রাষ্ট্র ও জাতিসমূহ কীভাবে আচরণ করবে তাও ঈশ্বর ঠিক করে দিয়েছেন। গ্রোশিয়াস এ ধারণা পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৬০৯ সালে তার প্রথম গ্রন্থে ''Mare Liberum'' বা "মুক্ত সমুদ্র" প্রকাশ করেন। সপ্তদশ শতকে ইউরোপে সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র ছিল ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন ও নেদারল্যান্ডস। মূল কারণ ছিল এসব রাষ্ট্র সমুদ্রপথে বাণিজ্য করার সুযোগ পায় এবং এদের প্রত্যেকের শক্তিশালী নৌবাহিনী ছিল। এ শক্তির বলে এরা সমুদ্রের বিশাল অংশ নিজ নিজ অধিকারে রয়েছে বলে দাবি করে। এ গ্রন্থে গ্রোশিয়াস দেখান যে সমুদ্র মানবজাতির জন্য উন্মুক্ত। প্রকৃতির এ ভাণ্ডারের উপর অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি এবং তা করতে হবে নির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে। তার এ প্রকৃতিবাদী মতবাদ ব্যাপক সাড়া ফেলে।
১৬২৫ সালে হুগো গ্রোশিয়াস তার বিখ্যাত গ্রন্থ ''ডি জুর বেল্লি আক পাসিস'' (যুদ্ধ ও শান্তির আইন) প্রকাশ করেন। এ গ্রন্থে তিনি বিশ্বশান্তির একটি রূপরেখা প্রকাশ করেন যা আন্তর্জাতিক আইনের অন্যতম ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। এ গ্রন্থে তিনি পরামর্শ দেন, রাষ্ট্রসমূহের পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যুক্তির উপর প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
১৬৪৫ সালের আগস্টে তিনি সুইডিশ পোমেরানিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ
-
1
-
2
-
3